শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৩ অপরাহ্ন
বার্তা ডেস্ক:
ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুফল চন্দ্র গোলদার এর পরিচয় দিয়ে মোবাইলে ল্যাপটপ দেয়ার কথা বলে তিন শিক্ষকের কাছ থেকে ২৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র। রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে ভুক্তভোগী তোতা মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পলাশ দেবনাথ ইউএনও এর পরামর্শে কাঠালিয়া থানায় অবহিত করেন।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পলাশ দেবনাথ জানান, গত শনিবার পার্শ্ববর্তী বিলছোনাউটা তোতা মিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল হাই পান্নার মোবাইলে ফোন করে আমাকে চাওয়া হয়। পরে অজ্ঞাত ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে প্রতারণার শিকার হই।
এসময় তিনি (প্রতারক) জানান, “আমি ইউএনও বলছি। উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে পাওয়া ল্যাপটপ আপনার স্কুলে দেওয়া হবে। ল্যাপটপ প্রতি আট হাজার টাকা আজকেই পাঠাতে হবে। আজকে টাকা না পাঠালে ল্যাপটপ পাওয়া যাবে না”। পরে কথিত ইউএনও এর নির্দেশনা অনুযায়ী নগদে ৮ হাজার টাকা পাঠাই। এ ছাড়াও অন্য দুই সহকারী শিক্ষক কমল দে ও নজরুল ইসলাম হাওলাদার ওই নম্বরে ল্যাপটপের জন্য টাকা পাঠান। কিছুক্ষণ পর মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। দীর্ঘ সময় ওই নম্বরটি বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয়।
পরে ইউএনও সুফল চন্দ্র গোলদারের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ইউএনও তাদের জানান, তিনি পলাশ দেবনাথের কাছে ফোন করেননি। এরপর শিক্ষকরা বুঝতে পারে তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
এছাড়া মধ্য ছোনাউটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম আখতারুজ্জামান জানান, ল্যাপটপের ব্যাপারে আমাকেও ফোন করা হয়েছিল এবং টাকা দেয়ার কথা বলায় আমি অফিসে গিয়ে দিয়ে আসবো বলে জানাই এবং প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পাই।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার জানান, ভুক্তভোগীদের পুলিশের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমার সরকারি মোবাইল নম্বর সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে। যাছাই – বাছাই ছাড়া কেন তারা প্রতারককে টাকা দিলেন বুঝতে পারছি না।